বৃহস্পতিবার সকালে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আগের ২৪ ঘণ্টায় তিন লাখ ৭৯ হাজার ২৫৭ জন নতুন রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছে।
এটি বিশ্বজুড়ে দৈনিক শনাক্তের আরেকটি রেকর্ড। এই নিয়ে টানা আট দিন ধরে ভারতে তিন লাখের বেশি করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হল। সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে অচিরেই দৈনিক শনাক্ত চার লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
একই দিন দেশটি মৃত্যুর সংখ্যায়ও নতুন উচ্চতায় উঠেছে, মারা গেছেন রেকর্ড ৩৬৪৫ জন। দেশটিতে মহামারীতে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
নতুন আক্রান্তদের নিয়ে দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৮৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা দুই লাখ চার হাজার ৮৩২ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
১৫ এপ্রিল থেকেই দেশটিতে দৈনিক দুই লাখের বেশি নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হওয়া শুরু করে। এক সপ্তাহ আগে দৈনিক সংক্রমণ তিন লাখের ঘর ছাড়িয়ে যায়। হু হু করে বাড়তে থাকা রোগীর চাপে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খাদের কিনারে চলে যায়।
দেশজুড়ে হাসপাতালগুলোতে শয্যা, চিকিৎসায় ব্যবহৃত অক্সিজেন ও ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধের সংকটে করোনাভাইরাস রোগীর চিকিৎসা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। অক্সিজেনের অভাবে অনেক হাসপাতালে বহু রোগী মারা যায়। শয্যার অভাবে হাসপাতালের বাইরে ভর্তিচ্ছু রোগীদের লাইন পড়ে, অনেকে সেখানেই বিনা চিকিৎসায় মারা যান।
মহামারীর ভয়াবহ পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশটির প্রাপ্তবয়স্ক সবাইকে টিকার আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। শনিবার থেকে তারা করোনাভাইরাস টিকা পেতে শুরু করবেন।
দেশটির করোনাভাইরাস টিকা রেজিস্ট্রেশন ওয়েবসাইট কোউয়িন এ বুধবার এক কোটি ৩০ লাখেরও বেশি টিকার আবেদন জমা পড়েছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
সূত্র, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম